টেকনাফের বাজারে বিক্রি হচ্ছে রসালো হলদে কাঁচাপাকা মালি আম। নতুন মৌসুমে বাজারে পসরা সাজিয়ে বসেছে এ কাঁচাপাকা আমগুলো। যদিও এ আমগুলো একসময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হতো। সম্প্রতি টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়া, মহেষখালীয়া পাড়া, গোদারবিল, সাবরাংসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি এ মালি আমের উৎপাদন ভালো হচ্ছে। তবে টেকনাফের স্থানীয় ভাষায় এ আমকে ‘মাজ্জাম’ বলা হয়।
একাধিক ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে এই আমের চাহিদা অনেক বেশি। বছরের নতুন মৌসুমের ফল হওয়ায় অনেকে কিনে নিচ্ছে। কেউবা এক কেজি, আবার কেউ আধা কেজি করে কিনে নিচ্ছে। কেজি প্রতি ৪০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।
তারা আরও জানায়, অনেক ব্যবসায়ীরা পুরো মৌসুমের জন্য আমগাছের কাঁচাপাকা সব আম কিনে নেয়। এতে তাদের লাভের পরিমাণও একটু বেশি হয়। আবার কেউ ঝুড়ি হিসেবে কিনে নেয়।
টেকনাফ বাজারের আলি আহমদ নামের এক ক্রেতা জানান, মালি আমগুলো কাঁচা এবং পাকা খেতে খুব মজা হয়। অনেকে তরকারির সঙ্গে রান্না করে খায়, আবার অনেকে আচার বানিয়ে খায়। আমগুলো বিভিন্ন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কাছে খুবই প্রিয়। তাদের চাহিদাও অনেক বেশি।
এ বিষয়ে টেকনাফ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, এটি পুষ্টিকর একটি ফল। মূলত এটি ভিটামিন-সি ও এন্টিঅক্সিজেন সমৃদ্ধ ফল। টেকনাফে মালি আমের ফলন খুবই ভালো হচ্ছে। এখন এ আমগুলো ঢাকা-চট্টগ্রামে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ আমের উৎস মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, বার্মা, থাইল্যান্ডে প্রচুর জনপ্রিয়। তারা অইখানে এগুলো আচার এবং শরবত করে খাই। আমাদের কক্সবাজার টেকনাফে মেয়েদের পছন্দের খাবার এটি। এটি উঁচু নিচু পাহাড়ের টিলাতে চাষ করা হয়।
পাঠকের মতামত